টেসলার স্টকের মূল্য $300-এর নিচে নেমে এসেছে। এর মূল কারণ কি? ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ইলন মাস্কের পুরনো দ্বন্দ্ব আবারও নতুন রূপ ধারণ করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে আবারও হুমকি-ধামকির আদান-প্রদান শুরু হয়েছে, আর ফলস্বরূপ, আগুনে যেন ঘি পড়েছে! টেসলার স্টকের মূল্যের উপরও এর প্রভাব পড়েছে পেয়েছে।

অতীতের তুলনায়, এবার দরপতন বেশ নজরকাড়া—টেসলার শেয়ারের দর একদিনেই প্রায় ৬% কমেছে। ৩০ জুন দিনশেষে টেসলার শেয়ারের দাম দাঁড়ায় $317-এ, অথচ এক সপ্তাহ আগেও সেটা $340-এর ওপরে ছিল।

ট্রাম্পের একসময়ের ঘনিষ্ঠ অনুগামী ইলন মাস্ক, যিনি একসময় গর্বের সঙ্গে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা সংক্ষেপে DOGE-র প্রধান হয়েছিলেন, এবার নিজের সাবেক বসকে কর আইন নিয়ে তুলোধোনা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেটাকে আদর করে বলছেন “ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল”, মাস্ক সেটাকে আখ্যা দিয়েছেন “ঋণের দাসত্বের পথ” হিসেবে—কারণ এতে জাতীয় ঋণের সীমা বাড়ানো হয়েছে।

মাস্ক এখন ঘোষণা দিয়েছেন, এই বিতর্কিত বিল পাস হলেই তিনি নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রস্তুত হবেন। আর তাতে বেজায় খেপে গিয়ে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে মাস্ককে সোজা বলেই দিলেন, “সাউথ আফ্রিকায় ফিরে যাও,” সঙ্গে অভিযোগ করেন যে মাস্ক নাকি “সরকারি ভর্তুকি পাওয়ার রেকর্ড স্থাপন করেছেন।”

এই ভর্তুকি ইস্যুই এখন এই নতুন ঝগড়ার কেন্দ্রবিন্দু। মাস্ক দাবি করেছিলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ট্যাক্স ইনসেনটিভ যেন বহাল থাকে—বিশেষ করে টেসলার জন্য। সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ভর্তুকির কথাও তুলেছিলেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে সব প্রস্তাবকে এক ঝটকায় উড়িয়ে দেন। এর পাল্টা হিসেবে, ইতোমধ্যেই বৈদ্যুতিক গাড়ির মন্থর বিক্রিতে কাবু মাস্ক সরাসরি আইনটির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন।