ইউরোপ এখন বেকায়দায় পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিতেই ওই ১০% মার্কিন শুল্ক অপরিহার্য। সময়টা সত্যিই কঠিন।

ইউরোপীয় প্রতিনিধিগণ এখনো শুল্কহার ১০%-এর নিচে নামাতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। ইইউ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, “১০% মার্কিন শুল্ক একেবারে আঠার মতো লেগে আছে। আমরা চাপ দিচ্ছি, কিন্তু ওরা এখন রাজস্ব পেতে শুরু করেছে।”

ইইউর জন্য শুল্ক কমানোর আলোচনা থমকে গেছে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন এই বৈশ্বিক শুল্ক থেকে আয় করতে শুরু করেছে।

এর আগে খবর এসেছিল, ইইউ-এর নেতৃবৃন্দ আলোচনার সময় ১০% মার্কিন শুল্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তারা এটাও স্বীকার করেছেন যে এই শুল্কহার বদলানো বা বাতিল করাটা খুবই কঠিন হবে।

উল্লেখযোগ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন এবং গাড়ির ওপর দিয়েছেন ২৫% শুল্ক। এই প্রেক্ষাপটে, ইইউ-এর নেতারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন চুক্তি করে ফেলতে, বিশেষত—৯ জুলাইয়ের মধ্যে—যখন বেশিরভাগ পণ্যের ওপর শুল্কহার ১০% থেকে একলাফে ৫০% হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোজোনের $236 বিলিয়ন বাণিজ্য উদ্বৃত্ত তো এই আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। এই পরিস্থিতিতে, ইউরোপজোন এই শুল্কে যতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যুক্তরাজ্য ততোটা হবে না, কারণ ব্রিটেনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।

হোয়াইট হাউস থেকে সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপের পর ইউরোপের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। ২৪ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে “অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনের” অভিযোগে তুলোধোনা করেছেন।

ওয়াশিংটন এবার আলোচনায় শুধু শুল্কই নয়, শুল্ক বহির্ভূত বাধাগুলোকেও ঢোকাতে চাইছে—যেমন ডিজিটাল কর, টেকসই প্রতিবেদনের নিয়মাবলী, এলএনজি রপ্তানি, আর খাদ্যপণ্যে মানদণ্ড আরোপ।