ব্রিটিশ পাউন্ড আবারও ট্রেডারদের নজরে এসেছে। BCA Research-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, পাউন্ড স্টার্লিং আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা, পাউন্ড এখন ডলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জিতে যেতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, ব্রেক্সিটের আগে যেখানে পাউন্ড ট্রেড করতো, এটির মূল্য আবার সেই লেভেলেই আবার ফিরে যেতে পারে—মানে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগের সময়ের মতো।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, BCA Research-এর মুদ্রা বিশ্লেষকরা আত্মবিশ্বাসী যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির ফলে মার্কিন স্টক মার্কেটে ধস নামবে এবং এর চাপ এসে পড়বে ডলারের ওপর। এই প্রেক্ষাপটে, ইউরো ও পাউন্ড—দু’টোই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এমনকি, মার্কিন গ্রিনব্যাক দুর্বল থাকলে সবচেয়ে বড় “বিজয়ী” হতে পারে পাউন্ডই।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প যখন বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপের অভিযান শুরু করলেন, তখন থেকেই বিশ্ববাজারের চিত্র বদলে যেতে শুরু করেছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র কার্যত বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, তাহলে প্রথম ধাক্কাটা দেশটির দিকেই আসবে। এমন পরিস্থিতিতে, ডলার আর সেই “বিশ্বস্ত নিরাপদ বিনিয়োগের” তকমা ধরে রাখতে পারবে না, আর এর ফলে মার্কিন মুদ্রার কাঠামোগত অবস্থানেও পরিবর্তন আসবে।

BCA Research-এর মুদ্রা বিশ্লেষকরা জানিয়েছে, “কারণ এক্সচেঞ্জ রেট হলো আপেক্ষিক মূল্য, তাই মার্কিন ব্রেক্সিট যেন ব্রিটিশ ব্রেক্সিটের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি করে, আর GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে আবার $1.50 থেকে $1.80-এর রেঞ্জে ফেরাতে পারে।”

এই প্রেক্ষিতে, বিশ্লেষকরা GBP/USD পেয়ারের ‘লং পজিশন’ ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছেন, যেটা তারা নিজেরাও ইতোমধ্যেই ওপেন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির আশা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পাউন্ডের দর $1.60-এ পৌঁছাতে পারে।

মার্কিন ডলার থেকে বিনিয়োগকারীদের এই পলায়ন বিটকয়েনের মূল্যের উত্থানের জন্যও একধরনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। BCA Research পূর্বাভাস দিচ্ছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের মূল্য $200,000 পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এই মুহূর্তে বিটকয়েন $107,738-এর কাছাকাছি ট্রেড করছে।

যদিও এই ফ্ল্যাগশিপ ক্রিপ্টোর কিছুটা দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তারপরও বিশ্লেষকরা জোর দিয়ে বলছেন—বিটকয়েনের মূল্যের উর্ধ্বমুখী যাত্রা এখনো “সবচেয়ে দৃঢ় আস্থাযোগ্য কাঠামোগত লং পজিশনের” একটি।