স্বর্ণের এখন রীতিমতো মঞ্চের মধ্যমণি হয়ে ওঠার সময়। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একদিকে যেমন স্বর্ণের মজুত বাড়াতে যাচ্ছে, তেমনি অপরদিকে তারা ডলার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। স্বর্ণ আবার পুরোনো সেই ঝকঝকে আকর্ষণ ফিরে পাচ্ছে!

এই স্বর্ণমুখী দৌড়ের পেছনে প্রধান কারণ—মার্কিন গ্রিনব্যাকের স্থিতিশীলতা নিয়ে বাড়তে থাকা সংশয়। এই প্রেক্ষাপটে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আগ্রাসীভাবে ডলারের রিজার্ভ কমিয়ে স্বর্ণের ভাণ্ডার বাড়াতে চলেছে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল।

শুধু ডলারের ভবিষ্যৎ নয়, নীতিনির্ধারকরা ভূরাজনৈতিক সংঘাত আর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা নিয়েও চিন্তিত। এই তিনটি বিষয়ই ব্যাংকগুলোকে রেকর্ড পরিমাণ স্বর্ণ কিনতে বাধ্য করছে। ফলে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম ৩০% বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বলছে, সংকটের সময়ে স্বর্ণই সবচেয়ে বেশি কার্যকর—কারণ এতে দেউলিয়াত্বের ঝুঁকি নেই, আর মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধেও এটি শক্তিশালী একটি ঢাল।

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার নতুন ঢেউ শুরু হওয়ার পর স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও জোরদার হয়েছে। গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম একপর্যায়ে আউন্সপ্রতি $3,430 উঠেছিল—যা প্রমাণ করে, নিরাপদ বিনিয়োগের শেষ ঠিকানা এখনো সেই পুরনো, চকচকে ধাতু স্বর্ণই!