সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ডলারের বেশ করুণ দশা দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে $1.1325-এর সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর থেকে মার্কিন গ্রিনব্যাক ৯.৬৩% মূল্য হারিয়েছে, আর এখন DXY সূচক নেমে গুরুত্বপূর্ণ $1.1200 সাপোর্টে পৌঁছেছে। ডলারের এই যাত্রাপথটা মোটেই মসৃণ ছিল না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, $1.1200-এর লেভেল কেবল মনস্তাত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি এক ট্রেন্ডলাইনের সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে এবং ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম ক্লোজিং লেভেল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে—যা ট্রেডারদের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য টেকনিক্যাল লেভেল।

টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলো বলছে, ডলারের দরপতন হয়তো অনেকটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাপ্তাহিক RSI মাঝামাঝি অবস্থানে আছে, আর সেন্টিমেন্ট মেট্রিক দেখাচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী বিয়ারিশ বা নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে।

ব্যাংক অফ আমেরিকার ২০২৫ সালের জুনের মাঝামাঝি করা এক জরিপে দেখা গেছে, অ্যাসেট ম্যানেজাররা DXY ফিউচারে রেকর্ড পরিমাণ শর্ট পজিশনে রয়েছেন ওপেন ইন্টারেস্টের তুলনায়। এরই মধ্যে অধিকাংশ প্রধান কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘমেয়াদি সাপোর্ট টেস্ট করছে—EUR/USD পেয়ারের মূল্য $1.1500 রেঞ্জে আটকে আছে, USD/JPY পেয়ারের মূল্য 143/140-এর আশপাশে ঘোরাফেরা করছে, আর AUD/USD পেয়ারের মূল্য 0.6630-0.6600 রেঞ্জে রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই ৮ বছর আগের সেই ডলারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার মতো, যখন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে DXY ১১% দরপতনের শিকার হয়েছিল। ব্লুমবার্গ ডলার ইনডেক্স এখন ২০০-সপ্তাহের মুভিং অ্যাভারেজের নিচে ট্রেড করছে—যা সাধারণত প্রবণতা অনুসরণকারীদের বিক্রয়ের সংকেত দেয়। আর ২০২৫ সালে ডলারের এই দরপতন, পুরনো সেই ছবিরই প্রতিচ্ছবি যেন।