আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দুনিয়ায় আবারও নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে! শোনা যাচ্ছে, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড এবার দ্রুত বিকাশমান স্টার্টআপ পারপ্লেক্সিটি এআই কিনে ফেলতে পারে, যা এটির উন্নত চ্যাট প্ল্যাটফর্মের জন্য পরিচিত। এই সম্ভাব্য চুক্তি অ্যাপলের এআই-স্বপ্নে ব্যাপক গতির সঞ্চার করতে পারে।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, উচ্চপর্যায়ের আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, ফলে এর ফলাফল এখনও অনিশ্চিত। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্ভাব্য অধিগ্রহণ অ্যাপলের এআই খাতে পিছিয়ে পড়ার স্বীকৃতিস্বরূপ। হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একীভূত করতে গিয়েই কোম্পানিটি বেশ সমস্যায় পড়েছে। সিরি আপগ্রেডে ধারাবাহিক বিলম্বের কারণে অ্যাপলের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট এখন ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি আর ইলন মাস্কের গ্রকের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।

প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারে সফল কোনো চুক্তি হলে এটি হবে অ্যাপলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ—আকার এবং প্রভাব দুই দিক থেকেই। এতে অ্যাপলের এআই বিকাশ গতি পাবে, আর তাদের ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাও আরও সমৃদ্ধ হবে।

তবে এই পথে কিছু বাঁধা রয়েছে। পারপ্লেক্সিটি অধিগ্রহণ নিয়ে আলোচনা ইতোমধ্যে মার্কিন অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের নজর পড়েছে, যা চুক্তির ভবিষ্যৎকে কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে। ফলে অ্যাপল হয়তো ভাবতে পারে, নিজেই একখানা এআই-চালিত সার্চ সিস্টেম বানিয়ে ফেলা ভালো। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, অ্যাপলের নেতৃত্ব এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পারপ্লেক্সিটির কাছে অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয়নি।

এদিকে, এআই যুদ্ধ দিন দিন আরও উত্তপ্ত হচ্ছে—টেক জায়ান্টরা এখন প্রতিভা আর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির দৌড়ে একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে চাইছে। বরাবরই অধিগ্রহণে একটু কুণ্ঠিত অ্যাপলের পক্ষ থেকে পারপ্লেক্সিটির দিকে ঝুঁকে পড়া এক ধরনের কৌশলগত মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা তাদের ঐতিহ্যগত সংযত রূপ থেকে কিছুটা আলাদা।