মালদ্বীপ
ভারত মহাসাগরের বুকে মালদ্বীপ একটি স্বপ্নের দ্বীপপুঞ্জ, যেখানে বিশ্রাম মানেই বিলাসিতা। এখানে প্রতিটি রিসোর্ট দ্বীপ আসলে একটি ছোটখাট হোটেল, যেখানে পুরো দ্বীপজুড়ে নিজস্ব অবকাঠামোসহ একটি মাত্র হোটেল থাকে। কিছু পর্যটক কাছাকাছি অঞ্চলের দ্বীপ ঘুরে দেখতে নৌকা ভাড়া করেন। মালদ্বীপে রয়েছে এক হাজারের বেশি প্রবাল দ্বীপ, যার অনেকগুলোই জনবসতিহীন। সবচেয়ে বড় দ্বীপটি মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত, যেখানে ১৭শ শতকে প্রবাল পাথরে নির্মিত ঐতিহাসিক মসজিদ “ফ্রাইডে মস্ক” ঘুরে দেখা যায়। মসজিদটির দেয়ালে খোদাইকৃত নকশা এবং ভিতরের সৌন্দর্য অতুলনীয়। মালদ্বীপ বিশ্বের শীর্ষ ডাইভিং গন্তব্যগুলোর একটি—এখানে রঙিন প্রবালপ্রাচীর আর হাঙ্গর বাদে বিশাল কিন্তু নিরীহ প্রাণীদের কাছ থেকে দেখার দুর্লভ অভিজ্ঞতা মেলে।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ
প্রশান্ত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০তম অঙ্গরাজ্য। প্রায় ২০টি আগ্নেয়গিরি ও প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত হাওয়াইয়ের প্রতিটি উপকূলে রয়েছে পরিষ্কার বালুকাবেলা, যেগুলোর রঙ সব সাদা নয়—কিছু কালো আগ্নেয়শিলা আর এমনকি কিছু সবুজ রঙয়েরও দেখা যায়। হাওয়াইয়ের বিখ্যাত পাপাকোলিয়া বিচে পাওয়া যায় সবুজ বালি, যার উৎস ‘অলিভাইন’ নামক আগ্নেয় খনিজ—যেটিকে স্থানীয়রা ‘হাওয়াইয়ান ডায়মন্ড’ বলে। হাওয়াইকে সার্ফিংয়ের জন্মস্থানও বলা হয়—এই খেলাটি শুরু হয় ১৮শ শতকে। ওয়াহু দ্বীপের উপকূলে রয়েছে বিশ্বের সেরা সার্ফিং স্পট, যেখানে ঢেউগুলো বড় হলেও বাতাস বেশ কোমল। ডাইভিংও এখানে জনপ্রিয়, যার মাধ্যমে প্রবালপ্রাচীর এবং জমে যাওয়া লাভা দেখতে পাওয়া যায়। দ্বীপপুঞ্জটিতে রয়েছে মাউনা লোয়া ও কিলাওয়া আগ্নেয়গিরি নিয়ে গঠিত একটি জাতীয় উদ্যান, যেখানে মাউনা লোয়া নামক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (উচ্চতা ৪১৬৯ মিটার) অবস্থিত।
সিসিলি (সেশেলস)
আফ্রিকার পূর্বদিকে ভারত মহাসাগরের গহীনে লুকিয়ে আছে সেশেলস দ্বীপপুঞ্জ। উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ুর কারণে এখানে সারা বছরই আদর্শ আবহাওয়া বিরাজ করে—যেখানে গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এখানে ছুটি কাটাতে খরচ একটু বেশি, তারপরও এখানে পাবেন স্বল্প বাজেটের ক্যাফে ও পাবলিক পরিবহন। ১১৫টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপপুঞ্জের বেশিরভাগ অংশই জনবসতিহীন। এখানকার জনপ্রিয় দ্বীপগুলোর মধ্যে রয়েছে মাহে, লা ডিগ, সেন্ট অ্যান, সিলুয়েট এবং প্রাসলিন। এখানকার অরণ্যজুড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আর সেইসাথে এখানে বিশাল আকৃতির কচ্ছপ দেখা যায়। বার্ড আইল্যান্ডে বাস করে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী ও প্রবীণ কচ্ছপ ‘এসমেরালডা’, যার ওজন ৩০০ কেজি এবং বয়স প্রায় ২০০ বছর। এখানেই আছে লক্ষ লক্ষ পাখির আবাস, যার মধ্যে রয়েছে সেশেলস ব্লু পায়রা এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোটি টার্ন কলোনি। প্রাসলিন দ্বীপে রয়েছে ইউনেস্কো ঘোষিত ভ্যালি দে মে রিজার্ভ, যেখানে দেখা মেলে ব্ল্যাক প্যারট ও ফলখেকো পায়রার মতো দুর্লভ পাখি। এখানকার কোকে দে মের পাম গাছ সেশেলসের জাতীয় প্রতীক।
তাহিতি
ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার সবচেয়ে বড় দ্বীপ তাহিতি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। এটি মূলত দুই অসমান আকারের অংশ নিয়ে গঠিত, যা মাত্র দুই কিলোমিটার প্রস্থের একটি স্থলচাপ দিয়ে সংযুক্ত। সারা বছর জুড়ে এখানে গরম আবহাওয়া বিরাজ করে, তবে শরতের মাঝামাঝি থেকে বসন্ত পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এই দ্বীপটির প্রতীক হলো এখনকার নিঃসক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ওরোহেনা, যার উচ্চতা ২২৪১ মিটার। এর ঢালে দেখা যায় জমাট বাঁধা লাভার চিহ্ন। তাহিতির আগ্নেয়গিরির উৎপত্তি এখানকার কালো বালুর সৈকত—যেমন পুনাওউইয়া বিচ দ্বারা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। তবে দ্বীপটিতে সাদা বালির সৈকতও আছে। উপকূলীয় ল্যাগুনগুলো ডাইভারদের স্বর্গ, আর যারা স্নরকেলিং করেন, তারাও পানির নিচে রঙিন মাছ আর ধীরে ভেসে বেড়ানো রে দেখতে পান। ১.৫–২ মিটার দৈর্ঘ্যের রিফ শার্কও এখানে দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে এখানকার জলসীমায় আগমন ঘটে বিশাল হাম্পব্যাক তিমির, যেগুলো কখনও কখনও উপকূলের কাছেও চলে আসে।
ডোমিনিকা
এই তালিকার শেষ নামটি হলো ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ দ্বীপ ডোমিনিকা—যাকে বলা হয় “ন্যাচার আইল্যান্ড।” এখানে রয়েছে ঘন ট্রপিক্যাল রেইনফরেস্ট, জলপ্রপাতের গর্জন আর সবুজ রঙের পানি। দর্শনার্থীরা মর্ন ত্রোয়া পিটন জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখতে পারেন, যা ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে অবস্থিত বিখ্যাত ‘বয়লিং লেক’—যা একটি জ্বলন্ত লাভার ওপরে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির গর্ত। পর্যটকরা চাইলে বরফঠান্ডা জলপ্রপাত বা প্রাকৃতিক ক্যানিয়নেও সাঁতার কাটতে পারেন। দ্বীপটিতে ১৭০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, যার মধ্যে স্থানীয় ‘সিসারু প্যারট’ সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। আর আছে ‘শ্যাম্পেইন রিফ’—যেখানে পানির নিচে থেকে ছোট ছোট বুদবুদ ওঠে আগ্নেয়গ্যাসের কারণে। ডোমিনিকার আশপাশের সাগরে বাস করে একটি প্রাকৃতিক স্পার্ম হোয়েল পরিবার—এখানে ২০টিরও বেশি তিমি ও ডলফিন প্রজাতি রয়েছে, যারা মাঝে মাঝে মানুষের একদম কাছ ঘেঁষে সাঁতার কাটে।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $1000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা জুন $1000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন