জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 143.67-এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি ডলার বিক্রি করিনি। 143.67-এর লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা ডলার কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে এবং এর ফলস্বরূপ এই পেয়ারের মূল্য ৫০ পিপস বৃদ্ধি পায়।
শুক্রবার মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানা যায় চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে, ফলে ডলার চাপের মধ্যে পড়ে। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য সংঘাত পুনরায় তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা বেড়ে যায়, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপদ সম্পদের পুঁজি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। বাণিজ্য আলোচনার ব্যর্থতা যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। অনেক অর্থনীতিবিদ ইতোমধ্যেই উল্লেখ করছেন যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস পাচ্ছে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আজ জাপানের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়েও ভালো এসেছে, যা ৫০ পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছেছিল এবং এই ফলাফল ইয়েনকে সমর্থন দিয়েছে, ফলে ডলারের ওপর চাপ বেড়েছে। যদিও সূচকটির এই অপ্রত্যাশিত ঊর্ধ্বগতির ফলে এখনো ৫০ পয়েন্ট ছাড়ানো যায়নি, তবে এটি জাপানের শিল্প খাতের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ সৃষ্টি করছে। ম্যানুফ্যাকচারিং PMI-এর ঊর্ধ্বগতি মানে হচ্ছে জাপানের উৎপাদন খাতে অর্ডার, উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে ইয়েন শক্তিশালী হচ্ছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা এটিকে উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জাপানি অ্যাসেটের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধির লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সদা পরিবর্তনশীল, এবং ইয়েন ও ডলারের মূল্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করবে—যেমন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা, রাজনৈতিক ঘটনা, এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত। বিনিয়োগকারীদের আগত প্রতিবেদন সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 144.50-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 143.59-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 144.50-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 143.07-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 143.59 এবং 144.50-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 143.07-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 142.25-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। আজ এই পেয়ারের উপর চাপ বজায় থাকতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 143.59-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 143.07 এবং 142.25-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।